ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
ইউরোপীয় পণ্ডিতদের দ্বারা সৃষ্ট একটি ভ্রান্ত ধারণা ইতিহাসের নামে আজ অবধি প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে যে, আর্যরা ছিল শ্বেতাঙ্গ, পশুপালক, যাযাবর ও ভারতবর্ষে বহিরাগত। এই ধারণা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয় যে, এই বহিরাগত, অসভ্য, পশুপালক ও যাযাবর আর্যরা সমগ্র ভারতবর্ষ অধিকার ক’রে এখানে তাদের ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে এবং ক্রমশ সভ্যতা গড়ে তোলে। ১৯২০-এর দশকে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারের পর এই ভ্রান্ত ধারণা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, এই বহিরাগত ও অসভ্য আর্যরাই সিন্ধু সভ্যতাকে ধ্বংস করে। কিন্তু পরবর্তীকালের এবং আরও সাম্প্রতিক কালের প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারসমূহ দ্বারা এটি সুপ্রমাণিত হয় যে সিন্ধু সভ্যতা কোন বহিরাক্রমণ দ্বারা ধ্বংস হয় নাই, বরং বন্যা, জলাবদ্ধতা এবং ঘনঘন নদীর গতিপথ পরিবর্তনের দরুন বিশাল অঞ্চলের জনবসতিসমূহের বিপর্যয় ও পরিত্যাগ এবং নদীখাত পরিবর্তন দ্বারা সরস্বতী নদীর মত সুবৃহৎ নদীর মৃত্যুবরণের ফলে এক বিশাল অঞ্চলের মরুকরণ ইত্যাদি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় প্রায় পৌনে চার হাজার বৎসর পূর্বে এ সভ্যতার অবসান ঘটে। শুধু তাই নয়, ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের যে পথ দিয়ে বহিরাগত আর্যরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল বলা হয় সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের আরও অনেক পরবর্তী কাল পর্যন্ত সেই পথটিতে উল্লেখ করার মত বহিরাগমন বা বহিরাক্রমণের কোন প্রত্নতাত্ত্বিক চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। এমন অবস্থায় প্রত্নতত্ত্বের বিচারে ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ তত্ত্ব নস্যাৎ হয়ে যায়। ফলে ভারতবর্ষের ইতিহাস ও সমাজের ক্রমবিকাশ ব্যাখ্যায় দেখা দেয় শূন্যতা। এ শূন্যতা পূরণে এতকাল ইউরোপীয় ভ্রান্ত ইতিহাস ব্যাখ্যার জের টেনে যে গোঁজামিল দেওয়া হচ্ছিল তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন “আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা”র লেখকদ্বয় শামসুজ্জোহা মানিক ও শামসুল আলম চঞ্চল। মূলত ঋগ্বেদ এবং সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারসমূহকে ভিত্তি করে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে কথিত আর্যরা সিন্ধু সভ্যতার নির্মাতা এবং অধিবাসী, ফলে ভারতবর্ষেরও অধিবাসী এবং এখান থেকেই তারা ইউরোপসহ সারা পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিস্তার লাভ ও অভিবাসন করে। ভাষাতত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব, ধর্ম, পুরাণ ইত্যাদি বিচার ক’রে লেখকদ্বয় এই যৌক্তিক সিদ্ধান্তেও উপনীত হন যে এই অভিবাসী ভারতীয়দের উত্তরাধিকারীরাই পরবর্তী কালে গ্রীস ও রোমে উন্নত সভ্যতা নির্মাণ করে। এবং আজকের ইউরোপীয় সভ্যতাও মূলত তাদের উত্তরাধিকার।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
গ্রন্থটিতে মূলত ষাটের দশকের বামপন্থী আন্দোলনে লেখকের নিজ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ দেশের কমিউনিস্ট রাজনীতির ব্যর্থতার কারণ এবং সমাজ বিপ্লবের বিকল্প পথ অনুসন্ধান করা হয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে লেখক নিজ অভিজ্ঞতামূলক বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখের মাধ্যমে কমিউনিস্ট রাজনীতি তথা মার্কসবাদের তত্ত্বগত সমস্যা, নেতৃত্বের সমস্যা এবং একই সঙ্গে কমিউনিস্ট রাজনীতির কিছু ইতিবাচক দিকের পর্যালোচনা করেছেন। এভাবে এটা হয়ে উঠেছে এ দেশের কমিউনিস্ট ও বামপন্থী আন্দোলনের ভিতর থেকে রচিত আত্মসমালোচনামূলক এবং নূতন পথ নির্দেশনামূলক এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক গ্রন্থ। কমিউনিস্ট রাজনীতির উত্তরাধিকারকে সম্পূর্ণরূপে নাকচ না ক’রে এবং তার উত্তরাধিকারকে অনেকাংশে ধারণ করেই তা থেকে নূতন রাজনীতিতে উত্তরণের প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে ‘রাজনীতির পুনর্বিন্যাস’-এ।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
১৯৮৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রায় কুড়ি বৎসর ব্যাপী বিভিন্ন সময়ে লিখিত কতকগুলি বাছাই করা প্রবন্ধ বা নিবন্ধের সংকলন ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি বিরোধের সমাজতত্ত্ব’। কয়েকটি প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে জার্নাল, পত্রিকা ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। কোন কোন প্রবন্ধের পাদটীকায় প্রথম প্রকাশের সময় ও স্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রচনার কাল-প্রেক্ষিত বুঝবার সুবিধার জন্য রচনা কাল উল্লেখ করা হয়েছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য কিছু সংশোধন করা হলেও প্রবন্ধগুলির সবই মূলত পূর্ববর্তী রচনার অপরিবর্তিত প্রকাশ। এখানে উল্লেখ্য যে এই সংকলনে স্থান পাওয়া সব কয়টি লেখাই ওয়েব সাইট ‘বঙ্গরাষ্ট্র’ (www.bangarashtra.net)-এ প্রকাশিত।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
সমাজ বিপ্লবের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসাবে মার্কসবাদের দাবী কতটা যৌক্তিক? মার্কসবাদ কি প্রমাণ নির্ভর ও বাস্তব যুক্তিভিত্তিক সঠিক তত্ত্ব, নাকি অন্ধ বিশ্বাসমূলক ভ্রান্ত তত্ত্ব? যদি এটা ভ্রান্তই হবে তবে পৃথিবীর বিশাল অঞ্চলের মানব সমাজের অগ্রগতিতে তার একটা পর্যায়ের সফলতা কেন এবং কীভাবে সম্ভব হল? আর যদি এটা সঠিক তত্ত্বই হবে তবে তার ভিতরের সঙ্কট এবং বিপর্যয়ের কারণ কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর লেখক খুঁজেছেন এই গ্রন্থে। অতঃপর লেখক এ দেশে মার্কসবাদী রাজনীতির ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করে বিপ্লবের বিকল্প পথ সন্ধান করেছেন।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
মার্কসবাদ নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক চলে আসছে বহুকাল ধরে। তবে কমিউনিস্ট শিবিরের বিপর্যয়ে পর থেকে এটির ধরন অনেক বদলেছে। এর প্রয়োজন-অপ্রয়োজন, এর ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক আছে এবং আরও বহুকাল থাকবে।
এ দেশে মার্কষবাদী বা কমিউনিস্ট আন্দোলন বর্তমানে মরণদশায় উপনীত হলেও এক সময় তা যথেষ্ট প্রবল প্রতাপ নিয়ে উপস্থিত ছিল। ফলে এটার আছে এক দীর্ঘ ও শক্তিশালী ঐতিহ্য। অন্যদিকে এ দেশে মার্কসবাদী বা কমিউনিস্ট আন্দোলন ব্যর্থ হলেও সমাজ বিপ্লবের অপরিহার্যতা আজ অবধি ফুরায় নি। সমাজ সঙ্কট নিরসনের এটিই আমাদের দেশে একমাত্র পথ। সুতরাং সমাজ বিপ্লবের একটি পদ্ধতি হিসাবে আমাদের দেশে মার্কসবাদ বিষয়ক বিতর্ক এখন পর্যন্ত খুব প্রাসঙ্গিক একটি বিষয় হয়ে আছে। বস্তুত এই বিতর্ককে এড়িয়ে গিয়ে বিপ্লবের বিকল্প পথ নির্মাণ অসম্ভব হয়ে থাকবে। এই বিতর্কের অংশ হিসাবে আজাহারুল ইসলামের দুইটি প্রবন্ধ এবং শামসুজ্জোহা মানিকের পত্রাকারে লিখা একটি প্রবন্ধ নিয়ে ‘মার্কসবাদ ও বিপ্লব বিতর্ক’ নামক সংকলন গ্রন্থটি প্রকাশ করা হল।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
২০০৭-এ ‘বাংলাদেশের সঙ্কট ও উত্তরণের পথ’একটি বিশেষ মুহূর্তের কিছু বিতর্ককে অবলম্বন করে লিখিত হলেও এটির পরিসর আরও অনেক বেশী বিস্তৃত। এটি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতির সঙ্কটের তলদেশকে স্পর্শ ক’রে তার মূল এবং অতঃপর তার প্রতিকার সন্ধানের প্রয়াস। এই ধরনের আর একটি প্রয়াস হচ্ছে লেখকের লেখা ‘বাঙ্গালী জাতির সঙ্কটের উৎস ও তার প্রতিকার সন্ধান। তবে সেটি মূলত সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয় বাংলার বাঙ্গালী জাতির সঙ্কটের উৎস ও প্রতিকার সন্ধানের প্রয়াস। আর এই গ্রন্থে জোর দেওয়া হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রভুক্ত বাঙ্গালী জাতি ও তার সমাজের সঙ্কটের উৎস এবং প্রতিকার সন্ধানের উপর এবং সেই সঙ্গে এই সঙ্কটকে প্রধানত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার উপর।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
একদিকে ধর্ম বিশেষত ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম এবং অপর দিকে মার্কসবাদী শ্রেণীতত্ত্ব কীভাবে বাঙ্গালীর জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের কাজকে উভয় বাংলায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে লেখক সেই বিষয়টিকে সংকলন গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ ‘ধর্ম ও শ্রেণীতত্ত্বের যাঁতাকলে বাঙ্গালী জাতি’-তে উদ্ঘাটন করেছেন। এছাড়া বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতিসত্তার জাতিগত সমস্যা এবং জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন নিয়ে লেখকের বিভিন্ন সময়ে লিখিত এবং বিভিন্ন স্থানে প্রকাশিত কিছু সংখ্যক প্রবন্ধ ‘ধর্ম ও শ্রেণীতত্ত্বের যাঁতাকলে বাঙ্গালী জাতি’নামক সংকলনে স্থান পেয়েছে। সুতরাং এটিকে জাতি ও জাতীয়তাবাদ বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন হিসাবে উল্লেখ করা যায়। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলির মাধ্যমে লেখকের বাঙ্গালীসহ সকল জাতির অধিকার ও মর্যাদার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে গারো জাতির উপর লিখিত শেষ দুইটি প্রবন্ধে প্রকাশ পেয়েছে নারীর বিশেষ অধিকার ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব সম্পর্কে লেখকের নিজস্ব ভাবনা।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
ইসলামে এক ভয়ঙ্কর সহিংস, স্বেচ্ছাচারী এবং পরুষতান্ত্রিক সর্বব্যাপী একনায়কী ক্ষমতা চর্চাকে এবং এর অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসাবে যুদ্ধ, ধর্ষণ, নারী নিগ্রহ এবং পরের সম্পদ লুণ্ঠন ও আত্মসাৎকরণকে কীভাবে ধর্মের মাধ্যমে যৌক্তিকতা ও বৈধতা দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে লেখক সেই বিষয়কে মূলত কুরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। ইসলামের মর্মে অবস্থিত হিংস্র একনায়কতন্ত্র, স্বৈরাচার এবং সহিংসতা কীভাবে সমাজ উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই বিষয়কেও লেখক ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন। এইভাবে আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় পাশ্চাত্যের আধিপত্য এবং মুসলিম পৃথিবীর দাসত্ব রক্ষার হাতিয়ার হিসাবেও লেখক ইসলামের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন। লেখকের মতে ইসলাম একনায়কত্ব, সন্ত্রাস, যুদ্ধ ও সহিংসতা, নারীর অসম্মান ও নিগ্রহ, অনৈতিকতা, দুর্নীতি, অনুন্নয়ন এবং পরদাসত্বের সমার্থক।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
ইসলাম ধর্ম এবং আধুনিক সভ্যতার মধ্যে সম্পর্ক কতটা সঙ্গতিপূর্ণ সেই প্রশ্নের উত্তর এই গ্রন্থে খোঁজা হয়েছে। সেই সঙ্গে খোঁজা হয়েছে এইসব প্রশ্নেরও উত্তর যে বাংলাদেশসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যষিত পৃথিবীর দেশে দেশে দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, পশ্চাৎপদতা, সন্ত্রাস, স্বৈরতন্ত্র, নারী নিগ্রহ এবং অমানবিকতা ইত্যাদির সঙ্গে ইসলামের কোন সম্পর্কে আছে কিনা এবং থাকলে সেটা ঠিক কতটা এবং কীভাবে। পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন সাতশত কোটি ছাড়িয়ে গেছে। রক্ষণশীল হিসাব অনুযায়ী তার মধ্যে প্রায় একশত ষাট কোটি বা তারও বেশী সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী বা ইসলামী সমাজভুক্ত। উদার হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা দুইশত কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আধুনিক সভ্যতায় এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অবস্থান ঠিক কোন্খানে এবং মানব জাতির জন্য তা কতখানি মর্যাদার অথবা স্বস্তির? বিশেষত পৃথিবীর দেশে দেশে ইসলামী জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের সাম্প্রতিক নবতর প্রাদুর্ভাবের সময়ে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া আরও জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। সমস্যাটা কি ইসলামের, নাকি ইসলামের ভ্রান্ত ব্যাখ্যার? নাকি সমস্যাটা আধুনিক সভ্যতার কিংবা মানবিক মূল্যবোধগুলির, যেগুলিকে আধুনিক সভ্যতা নীতিগতভাবে হলেও ধারণ করে? তবে কি আধুনিক সভ্যতা এবং মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক সাংঘর্ষিক? যদি তাই হয় তবে সেটা কীভাবে এবং কেন? এবং সে ক্ষেত্রে ইসলামী সমাজের সদস্য হিসাবে আমাদের করণীয়ই বা কী হতে পারে? এই সঙ্গে আছে পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে ইসলামের সম্পর্কের জটিলতার প্রশ্ন। তার প্রকৃত রূপটাই বা কী? সেটা যদি সাম্রাজ্যবাদী অধীনতা হয় তবে তা থেকে ইসলামী পৃথিবীর মুক্তির উপায়ও বা কী? এই গ্রন্থে লেখক সংক্ষেপে সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন।
ব-দ্বীপ প্রকাশন,
৬৩ বেসমেন্ট, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা-১২০৫।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৫৫৭ ৭৯১৩৯৬
ইসলামের প্রাণশক্তির উৎস হচ্ছে জিহাদ। এই জিহাদের মাধ্যমে মদীনা থেকে তার বিজয়ী রূপে আত্মপ্রকাশ, প্রসার এবং প্রতিষ্ঠা। জিহাদের তাৎপর্য বাস্তবে হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্মের নামে যুদ্ধ এবং আরব আধিপত্য ও সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ। জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী আরব রাষ্ট্রের প্রসারের সঙ্গে ঘটেছে ধর্মের নামে পাইকারীভাবে পরের সম্পদ ও সম্পত্তি লুণ্ঠন ও আত্মসাৎকরণ, নারী ধর্ষণ, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে কাফের বা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী আখ্যায়িত ক’রে আক্রমণ ও পরাজিত ক’রে বন্দী ও দাসকরণ। এভাবে ইসলামে ধর্মের নামে জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, আরব সাম্রাজ্যবাদ এবং দাস ব্যবস্থার যে ঐতিহ্য বা উত্তরাধিকার গড়ে উঠেছে তাকে এই গ্রন্থে লেখক অজস্র তথ্যের সাহায্যে উদ্ঘাটিত করেছেন। জিহাদের উপর বিপুলভাবে তথ্যসমৃদ্ধ এ অসাধারণ গ্রন্থটি M.A. Khan-এর লেখা Islamic Jihad: A Legacy Of Forced Conversion, Imperialism, and Slavery (iUniverse, Inc; New York, Bloomington) নামক ইংরাজী গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ’৭১-এর বাঙ্গালীর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং লোকবাদ বা সেকিউলারিজমের প্রথম দাবীই হচ্ছে ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে বাঙ্গালী জাতির যে বিভাজন ঘটেছিল তাকে নাকচ করা। এই দাবীর একমাত্র যৌক্তিক পরিণতি হচ্ছে পারস্পরিক স্বেচ্ছাসম্মতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম লোকবাদী রাষ্ট্রে বাংলা ও বাঙ্গালী জাতির পুনরেকত্রীকরণ সম্পন্ন করা। এই দাবী কখন বাস্তবায়িত...
প্রথম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত এই আলোচনার শুরুতে এ কথা বলা উচিত হবে যে, ষাটের দশকে যে প্রজন্ম তৎকালীন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশ পূর্ব বাংলা কিংবা পূর্ব পাকিস্তানের বুকে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি গড়েছিল সেই প্রজন্মের একজন হিসাবে এটা অনেকটা আমারও আত্মকথন। এই আলোচনায় প্রথমে এটাও স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, পাকিস্তান কালে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য যে কোনও ধরনের স্বায়ত্তশাসনের রাজনীতি আর পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী ধর্মপরিচয় নির্বিশেষে সকল বাঙ্গালীর জন্য জাতি পরিচয় ভিত্তিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি সম্পূর্ণ...
Founded by: Shamsuzzoha Manik.
Founded ON: 21 September, 2006
Email: bangarashtra@gmail.com